বেকারত্ব-কমাতে-সুদক্ষ-ও-কর্মঠ-কর্মসুচি-চালু-করা-হবে---মাননীয়-শিক্ষা-উপমন্ত্রী-মহিবুল-হাসান-চৌধুরী
Wellcome to National Portal



Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বেকারত্ব কমাতে সুদক্ষ ও কর্মঠ কর্মসুচি চালু করা হবে - মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী


প্রকাশন তারিখ : 2019-09-25

ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বেকারত্ব কমাতে সুদক্ষ ও কর্মঠ কর্মসুচি চালু করা হবে - মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের বর্ণিত সুদক্ষ ও কর্মঠ কর্মসুচি অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয় সুদক্ষ ও কর্মঠ কর্মসুচি চালু করতে যাচ্ছে। এ কর্মসুচি অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নির্মিত সকল অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং প্রকল্প এলাকার স্থানীয় যুবক ও যুবতীদের প্রাকটিক্যাল প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। যেমন একটি উন্নয়ন প্রকল্পে রাজমিস্ত্রী, ইলেকট্রিক্যালসহ বিভিন্ন রকমের কারিগরি কার্যক্রম হয় এবং একটি প্রকল্প কমপক্ষে এক থেকে দেড় বছর চল। কোন শিক্ষার্থী যদি এক থেকে দেড় বছর  প্রাকটিক্যাল দক্ষতা অর্জন করে তাহলে সে সংশ্লিস্ট বিষযে দক্ষ হবে। একজন দক্ষ কর্মীকে কারিগরি বোর্ডের মাধ্যমে দুই দিনের প্রশিক্ষণ ও প্রাকটিক্যাল টেস্ট নেয়া হবে এবং তাদেরকে সার্টিঠিকেট দেয়া হবে। তিনি আজ সকালে রাজধানীর ইস্কাটনে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের কার্যালয়ে নির্বাচিত মাদ্রাসা সমুহের উন্নয়ন প্রকল্পের আয়োজনে মাঠ পর্যায়ে প্রকল্পের  বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিউদ্দিন আহমদ এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মুনশী  শাহাবুদ্দিন আহমেদ, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাশুক মিয়া ও জাকির হোসেন, কারিগরি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রওনক মাহমুদ, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের  চেয়ারম্যান ড. মোঃ মোরাদ মোল্ল্যা।

উপমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিটি মাদ্রাসাকে দ্বীনি শিক্ষার পাশাপাশি ভোকেশনাল সেন্টারে পরিনত করা হবে। এতে করে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা বেকার থাকবে না। তিনি বলেন ২০২১ সালের মধ্যে দেশের ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কারিগরি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে।

উপমন্ত্রী আরও বলেন ভবিষ্যতে সরকারের অনুমতি ছাড়া কেউ ব্যক্তি উদ্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করতে পারবে না। আমাদের কোমলমতি শিশুদের আমরা অনিবন্ধিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না। তিনি আরও বলেন আমাদের দেশের প্রচুর দক্ষ শ্রমিক বিদেশে কাজ করে কিন্তু তাদের কোন সার্টিফিকেট না থাকায় তারা অন্য দেশের শ্রমিকদের চেয়ে কম বেতন পায়। সরকার এই বিষয়টি  মাথায় রেখে সকল দক্ষ শ্রমিকদের সার্টিফিকেট দেয়ার ব্যাবস্থা করবে এবং যুব সমাজকে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি বৃত্তিমূলক শিক্ষা দেয়া হবে এবং কারিগরি বোর্ডের মাধ্যমে সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।  মুনশী শাহাবুদ্দিন বলেন নির্বাচিত মাদ্রাসাসমুহের উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে ১৮০০ মাদ্রাসার নতুন ভবন তৈরি করা হবে। প্রত্যেক মাদ্রাসা ভবন নির্মান করতে কমপক্ষে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগবে। ঐ মাদ্রাসার এলাকার শিক্ষার্থী এবং আশেপাশের বেকার যুবকরা এই ভবন নির্মাণের সময় প্রাকটিক্যাল দক্ষতা নিতে পারবেন এবং কারিগরি বোর্ড তাদেরকে সার্টিফিকেট দিবে। প্রত্যেক ভবণ নির্মাণ কালীন সময়ে কমপক্ষে ৫০ জন শ্রমিক তৈরী  করা হবে। শুধু মাত্র এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৯০,০০০ দক্ষ শ্রমিক তৈরী করা হবে।

 

 

                                               মোহাম্মদ আবুল খায়ের

তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা

          শিক্ষা মন্ত্রণালয়

মোবাইল নাম্বার: ০১৭১৬০৬৬৮